আজ ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপ: চট্টগ্রামে ভোটে আছে ২ এমপির স্বজন


অনলাইন ডেস্কঃ ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু এরপরও চট্টগ্রাম বিভাগের ২ উপজেলাসহ মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন ২য় ধাপের ভোট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেননি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ রবিবার (১৯ মে) রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় টিআইবি।

টিআইবি বলছে, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মোরশেদ আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম দীপু আর লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নুর উদ্দিন চৌধুরীর ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ এখনও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

এর আগে প্রথম ধাপেও মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি আরো জানিয়েছে, এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী। সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যানে এসব প্রার্থীদের অনেকে সংসদ সদস্যদের চেয়েও এগিয়ে। ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রেও এরকম তথ্য পাওয়া গেছে।

টিআইবি তাদের বিশ্লেষণে জনায়, পদে না থাকাদের তুলনায় থাকাদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে অনেক বেশি। ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ রয়েছে। প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন নির্বাচনে গবেষণালব্ধ ফল জানালো টিআইবি

টিআইবি বলছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থী গত পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তাদের আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এক্ষেত্রে এসব প্রার্থীদের ওপর নির্ভরশীল প্রভাবশালী নেতাদেরও সম্পদ বেড়েছে অস্বাভাবিকহারে। তাদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার ৪’শ শতাংশ।

টিআইবি আরো জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একদলীয় প্রভাব রয়েছে। অধিকাংশ প্রার্থী এক দলের। এটাকে সুস্থ্য গণতন্ত্র বলা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধি সম্পর্কিত, সে কারণে সবাই ভোটে জিততে চান।’

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর